শ্রেণিকক্ষে শিক্ষিকাকে সিঁদুর পরিয়ে মালাবদল করলেন ছাত্র!

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে বিভাগীয় প্রধানের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে মালা বদল করলেন প্রথম বর্ষের ছাত্র। শ্রেণিকক্ষই যেন হয়ে গেল ছাঁদনাতলা। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের নদিয়ার হরিণঘাটার মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বা ম্যাকাউট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ছাত্র-শিক্ষিকার ‘বিয়ের’ সেই ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়।

শুরু হয় শোরগোল। তবে প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি সত্যি বিয়ে ছিল না কি অভিনয়? এই বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে ওই শিক্ষিকা বলেন, ‘এটা পার্ট অব ড্রামা। ফ্রেশার্স পার্টিতে যেমন হয়। তবে যারা এই ক্লিপটা ছড়িয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য একেবারেই সৎ নয়।

কারণ, ভিডিওতে আরও অনেক কিছুই ছিল। সেগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি তথ্য দিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানিয়েছি। এই ঘটনায় আমার থেকেও বেশি বাচ্চাগুলোর ক্ষতি হলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, এটি গত ১৬ জানুয়ারির ঘটনা। তবে গত মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে ‘বিয়ের’ ভিডিও দেখে বিভাগীয় প্রধান ওই শিক্ষিকাকে তড়িঘড়ি ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রেরও খোঁজ মিলছে না। এ নিয়ে সহপাঠীরা মুখ খুলছেন না।

এ বিষয়ে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানান, যে ছবি দেখলাম তাতে তো মনে হচ্ছে, সবই হয়েছে দিনের আলোয়, অন্যান্য শিক্ষার্থী ও ফ্যাকাল্টি মেম্বারের সামনে। তাহলে তখন কারও মনে হলো না এতে অস্বস্তিকর কিছু আছে? বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ, এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই অস্বস্তিকর। আর উনি হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট। ছেলেটি প্রথম বর্ষের।

তিনি বলেন, এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে কিছু নিয়ম আছে। এই ধরনের ঘটনায় যে সামাজিক বার্তা যায়, তা কখনোই কাম্য নয়। এ ঘটনায় ওই অধ্যাপিকাকে এখন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পাঁচজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার নিয়ে কমিটি তৈরি করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ওই ছাত্রের মা, বাবার সঙ্গেও কথা হয়েছে।সূত্র : এই সময়।

ডিএস/আরএ