সিলেটে চুরি যাওয়া সোনা উদ্ধারে আলটিমেটাম
দৈনিকসিলেট ডটকম
সিলেটে শপিংমলের দোকান থেকে ‘২৫০ ভরি’ সোনা চুরির ঘটনায় ২০ দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি চুরি যাওয়া সোনাও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ পরিস্থিতিতে এক সপ্তাহের মধ্যে সোনা উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতার না করলে দোকানপাট বন্ধ রেখে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সিলেট জেলা শাখার আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই হুঁশিয়ারি দেন তারা। দুপুর ১২টার দিকে নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সোনা চুরির তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাউকে আটক কিংবা চুরির সোনা উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করলেও এখনো কোনো অগ্রগতি নেই।
বিষয়টি রহস্যজনক উল্লেখ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্যবসায়ীদের দেওয়া ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা দামি গাড়ি চড়ে বেড়ান। অথচ ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও জানমালের রক্ষায় তারা কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
বাজুস সিলেট জেলা শাখার সভাপতি মাহবুবুর রহমান সওদাগরের সভাপতিত্বে ও বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিসট্রিক্ট মনিটরিংয়ের সদস্য নীহার কুমার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, বাজুস সিলেটের সহসভাপতি আবদুল কাদির মল্লিক প্রমুখ।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার তথ্য-উপাত্ত ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে ৯ জানুয়ারি সিলেট নগরীর আল হামরা শপিং সিটির চতুর্থ তলার নূরানী জুয়েলার্স নামের একটি দোকানের তালা ভেঙে সোনা চুরির ঘটনা ঘটে। মালিকপক্ষের দাবি, এ ঘটনায় তাদের ২৫০ ভরি সোনা খোয়া গেছে। এরপর দোকানের মালিক দেওয়ান মো. জাবেদ চৌধুরী মামলা করেন।