প্রেম করলে অসুখের ঝুঁকি কমে

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
ভ্যালেন্টাইন্স ডে চলে গিয়েছে তাতে কী! বাতাসে তো প্রেম বইছে। শহরের শিমুল, বাগান বিলাসগুলো যখন ফুলে ছেয়ে গিয়েছে, তখন সম্পর্কগুলোও একটু একটু করে মধুর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, প্রেম করা নাকি শরীরের জন্য ভালো। রিলেশনশিপ যদি সুন্দর হয় মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। জানেন, একটা সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্ক কী ভাবে আপনার জীবন বদলে দিতে পারে?
প্রেশার কন্ট্রোলে থাকে
ভালোবাসা পেতে কার না ভালো লাগে! আর এই ভালোবাসাই আপনার হার্টকে ভালো রাখে। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভালোবাসার মানুষটা কাছে থাকলে প্রেশার স্বাভাবিক থাকে। প্রেশার বেড়ে গেলে মনের মানুষকে জড়িয়ে ধরুন, তার পর ম্যাজিক দেখুন। রক্তচাপ একদম স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেকাংশে কমে যায়।
মানসিক চাপ কমে
যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে যদি সঙ্গীর সাপোর্ট পাওয়া যায়, তাকে কাছে পাওয়া যায়, মানসিক চাপ কমে। যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে সহজেই মোকাবিলা করা যায়। প্রেম করলে দেহে অক্সিটোসিন ও এন্ড্রোফিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই দুই হরমোন স্ট্রেস কমাতে এবং মনকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ভালোবাসা দেহে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমায় এবং ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি কমায়।
সম্পর্ক মজবুত করে
পার্টনারের সঙ্গে যদি বন্ডিং বা সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়, আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। প্রথমত, হার্ট খুব ভালো থাকে এবং শারীরিক প্রদাহ কমে। প্রেম করলে অসুখে ভুগবেন কম। ধরুন কোনও অসুখে ভুগছেন, তখন প্রিয় মানুষটা কাছে থাকলে অসুখের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
রোম্যান্টিক রিলেশনশিপ লাইফস্টাইলকে সুন্দর করতে সাহায্য করে। যেমন একে-অন্যের যত্ন নেন, তেমনই নিজেরও একটু বেশি খেয়াল রাখেন। একসঙ্গে এক্সারসাইজ় করা, একসঙ্গে রান্না করা এবং খাবার খাওয়া— এগুলো স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। তা ছাড়া একে-অন্যকে এক্সপ্লোর করার মাধ্যমেও সম্পর্ক মজবুত ও জীবন সুন্দর হয়ে ওঠে।
ডিপ্রেশন কমে
সম্পর্কে থাকলে সঙ্গীকে সময় দেওয়া জরুরি। দিনের শেষে আপনি মানুষটাকে ভালো রাখার জন্য কতটা চেষ্টা বা প্রয়াস করছেন সেটাই আসল। দিনের শেষে সোশ্যাল মিডিয়া, অফিসের কাজ সমস্ত কিছু থেকে বিরতি নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটান। একে-অন্যের সঙ্গে গল্প করুন, দিনের ছোটখাটো কথা ভাগ করে নিন। এতে একাকিত্ব ও ডিপ্রেশন কমবে এবং সম্পর্কের ভিত মজবুত হবে।