বিমানবাহিনীতে কোন দেশের কত ক্ষমতা

দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমানবাহিনী সব দেশের চেয়ে এগিয়ে। ১৪৫টি দেশের মধ্যে তাদের অবস্থান প্রথম। দেশটির কাছে ১৩ হাজারের বেশি যুদ্ধবিমান রয়েছে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ফাইটার বিমান আছে ১ হাজার ৭৯০টি, অ্যাটাক বিমান ৮৮৯টি, পরিবহন ৯১৮টি, প্রশিক্ষণ বিমান ২ হাজার ৬৪৭টি, বিশেষ মিশনের জন্য ৬৪৭টি, হেলিকপ্টার ৫ হাজার ৮৪৩টি, ট্যাংকার বহরে কাজ করে ৬০৫টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ১ হাজার ২টি। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী আকাশ প্রতিরক্ষায় যেসব যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে, তার মধ্যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো—
এফ-৩৫: লকহিড মার্টিনের তৈরি এফ-৩৫ যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত যুদ্ধবিমান। এই যুদ্ধবিমান রাডারের চোখ ফাঁকি দেওয়ার বা স্টিলথ সক্ষমতা, উচ্চ গতিশীলতা এবং উন্নত তথ্য সক্ষমতাকে একত্র করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে সক্ষম। যুক্তরাষ্ট্রসহ ২০টি দেশ এই মডেলের যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে।
এফ-২২ র্যাপটার: এফ-২২ র্যাপটার যুদ্ধবিমান শব্দের গতির চেয়ে দ্বিগুণ বেশি গতিতে উড়তে পারে। এটি আকাশে শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠাকারী যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত। এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ‘প্রথমে আঘাত, প্রথমেই ধ্বংস’ করার সক্ষমতা। পঞ্চম প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীতে যুক্ত হয়। ২০০৬ সালে প্রথম যুদ্ধ মিশনে অংশ নেয়। এটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রই ব্যবহার করে।
১৯৭০-এর দশকের শুরুতে এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন বাজারে আসে। এটি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশ্বের ২৫টি দেশ এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে। গত বছর রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছিল ইউক্রেন।
এফ-১৫ ঈগল/স্ট্রাইক ঈগল: ১৯৭২ সালে প্রথম এই বিমান ওড়ানো হয়। ২০২৪ সালে হালনাগাদ করা হয়। এটি আগের সংস্করণগুলোর তুলনায় আরও বেশি দূর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে পারে। এতে উন্নত রাডার, সেন্সর ও নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তি রয়েছে।
এফ-১৫ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। ১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী ৩৯টি ইরাকি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। তার প্রায় সব কটি এফ-১৫ দিয়ে নামানো হয়েছিল।
সামরিক বিমানবাহিনীর সক্ষমতায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে রাশিয়া। দেশটির বহরে ৪ হাজার ২৯২টি বিমান রয়েছে। এর মধ্যে ফাইটার বিমান আছে ৮৩৩টি, অ্যাটাক বিমান ৬৮৯টি, পরিবহন বিমান ৪৫৬টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৬১১টি, বিশেষ মিশনের জন্য ১৪১টি, হেলিকপ্টার ১ হাজার ৬৫১টি, ট্যাংকার বহরে কাজ করে ১৯টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ৫৫৭টি। তাদের কাছে থাকা উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো
সুখোই সু-২৭ ফ্লেঙ্কার: সুখোই সু-২৭ ফ্লেঙ্কার জেটের সর্বোচ্চ গতি ২ হাজার ৮৭৮ কিলোমিটার। বছরের পর বছর বিভিন্ন ধরনের অভিযানে অংশ নিয়েছে এটি। এ জেটের ওড়ার ক্ষমতা অসাধারণ। ১ মিনিটের কম সময়ে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত উঁচুতে পৌঁছাতে পারে এটি। ৪০ বছর আগে যাত্রা শুরু করা সুখোই সু-২৭ জেটের এখনো বেশ গ্রহণযোগ্যতা আছে। বহুমুখিতা ও দারুণ বৈশিষ্ট্যের কারণে এখনো এ ধরনের জেট বিমান উৎপাদিত হচ্ছে।
সুখোই ২৪: সোভিয়েত যুগের এই যুদ্ধবিমানের আধুনিকায়ন করা হয়েছে। রুশ বিমানবাহিনীতে সবচেয়ে বেশি রয়েছে এই মডেলের যুদ্ধবিমান। সুপারসনিক ক্ষমতাসম্পন্ন এই যুদ্ধবিমান নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। ৫০ বছর আগে যাত্রা শুরু করা সুখোই সু-২৪ জেটের এখনো বেশ গ্রহণযোগ্যতা আছে। ১৯৯৩ সালের পর এই বিমান এখন আর উৎপাদিত হচ্ছে না।
সুখোই-৩৪ ফুলব্যাক: দূরপাল্লার সুপারসনিক বোমারু বিমান সুখোই-৩৪। এই যুদ্ধবিমানের ককপিটে পাশাপাশি দুজন পাইলট বসতে পারেন। আকাশপথে শত্রুপক্ষের যুদ্ধবিমানকে ঘায়েল করতে পারদর্শী। এ ছাড়া স্থলে থাকা লক্ষ্যবস্তুকেও আঘাত হানতে সক্ষম এটি। ১৯৯০ সালে এটি বহরে যুক্ত হয়। এরপর ২০১৪ সাল পর্যন্ত উৎপাদন করে।
সামরিক বিমানবাহিনীর সক্ষমতায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। দেশটির বহরে ৩ হাজার ৩০৯টি বিমান রয়েছে।চীনের ফাইটার বিমান যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি। দেশটির কাছে ১ হাজার ২১২টি ফাইটার বিমান রয়েছে। অ্যাটাক বিমান আছে ৩৭১টি, পরিবহন বিমান ২৮৯টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৪০২টি, বিশেষ মিশনের জন্য ১১২টি, হেলিকপ্টার ৯১৩টি। ট্যাংকার বহরে কাজ করে ১০টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ২৮১টি। দেশটির কাছে থাকা উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো—
জে-৩৫: যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশ্রেষ্ঠ যুদ্ধবিমান এফ-৩৫-এর প্রতিদ্বন্দ্বী হাজির করেছে চীন। চলতি বছরের শুরুতে চীনের তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমান জে-৩৫-এর মহড়া হয়। জে-৩৫ একটি মাঝারি আকারের স্টিলথ যুদ্ধবিমান। এই বিমান একাধিক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।
জে-৩৫ চীনা বিমানবাহিনীতে দ্বিতীয় স্টিলথ ফাইটার। অপর স্টিলথ ফাইটারটি হলো জে-২০ হেভি ডিউটি স্টিলথ কমব্যাট এয়ারক্রাফট। ২০১৬ সালের শেষ দিকে চীন এই যুদ্ধবিমান নিজেদের বহরে যুক্ত করে।
চীনের নতুন যুদ্ধবিমান জে-৩৫ দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কোম্পানির তৈরি এফ-৩৫-এর মতোই। পার্থক্য শুধু, জে-৩৫-এ দুটি ইঞ্জিন আছে এবং এফ-৩৫-এ আছে একটি ইঞ্জিন।
জে-১০সি: জে-১০সি মডেলের এ যুদ্ধবিমান সব ধরনের আবহাওয়ায়, বিশেষ করে রাতে, অভিযানের জন্য উপযোগী করে তৈরি। চীনের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বহরে থাকা যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আস্থা রাখার মতো একটি হলো জে-১০সি মডেলের এই যুদ্ধবিমান।
সামরিক মহড়ার জন্য জে-১০সি ছাড়াও জে-১১বি, কেজে-৫০০ যুদ্ধবিমান এবং ওয়াই-৮ ইলেকট্রিক যুদ্ধবিমান রয়েছে চীনের।
সামরিক বিমানবাহিনীর সক্ষমতায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটির বহরে ২ হাজার ২২৯টি বিমান রয়েছে।ভারতের কাছে ৫১৩টি ফাইটার বিমান রয়েছে। অ্যাটাক বিমান আছে ১৩০টি, পরিবহন বিমান ২৭০টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৩৫১টি, বিশেষ মিশনের জন্য ৭৪টি, হেলিকপ্টার আছে ৮৯৯টি, ট্যাংকার বহরে কাজ করে ৬টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ৮০টি। দেশটির কাছে থাকা উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো—
সুখোই সু-৩০ ফ্লেঙ্কার-সি: সুখোই সু-৩০ ফ্লেঙ্কার-সি জেটের সর্বোচ্চ গতি ২ হাজার ১২০ কিলোমিটার। বছরের পর বছর বিভিন্ন ধরনের অভিযানে অংশ নিয়েছে এটি। এই জেটের ওড়ার ক্ষমতা অসাধারণ। ১৯৮৯ সালে প্রথম বাজারজাত করা হয় রাশিয়ার তৈরি এই বিমান। ভারত ছাড়াও রাশিয়া, আলজেরিয়া ও ভিয়েতনাম এই মডেলের বিমান ব্যবহার করে।
মিগ-২৯: মিগ-২৯ একটি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। এটি ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের মিকোয়ান ডিজাইন তৈরি করা হয়। ১৯৮৩ সালে সোভিয়েত বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত হয় এটি।
যুদ্ধবিমানটি উচ্চগতি, চমৎকার গতিশীলতা এবং যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত ডিজাইনের জন্য পরিচিত। এটি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়েছে। ভারত, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরান, আলজেরিয়া, ইউক্রেনসহ প্রায় ২৫টির বেশি দেশের বিমানবাহিনী এই বিমান ব্যবহার করেছে।
সামরিক বিমানবাহিনীর সক্ষমতায় পঞ্চম অবস্থানে এশিয়ার আরেকটি দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির বহরে ১ হাজার ৫৯২টি বিমান রয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৩১৫টি ফাইটার বিমান রয়েছে। অ্যাটাক বিমান আছে ৯৮টি, পরিবহন বিমান ৪১টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৩১৮টি, বিশেষ মিশনের জন্য ৩৬টি, হেলিকপ্টার ৮০৭টি, ট্যাংকার বহরে কাজ করে ৪টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ১১১টি। দেশটির কাছে থাকা উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো—
কেএফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকন: যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬-এর সংস্করণে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থানীয়ভাবে তৈরি। এটি একটি বহুমুখী যুদ্ধবিমান। ১২০টির বেশি দেশে সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এফ-৩৫এ: রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম স্টেলথ প্রযুক্তিসম্পন্ন পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হয়েছে। আকাশে ও ভূমিতে আক্রমণের ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য। দেশটির কাছে ৪০টির বেশি এই বিমান রয়েছে।
সামরিক বিমানবাহিনীর সক্ষমতায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে এশিয়ার আরেক দেশ জাপান। দেশটির বহরে ১ হাজার ৪৪৩টি বিমান রয়েছে।
জাপানে কাছে ২১৭টি ফাইটার বিমান রয়েছে। অ্যাটাক বিমান আছে ৩৮টি, পরিবহন বিমান ৫৫টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৪০১টি, বিশেষ মিশনের জন্য ১৪১টি, হেলিকপ্টার আছে ৫৯৬টি, ট্যাংকার বহরে কাজ করে ১০টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ৮৯টি। জাপানের কাছে থাকা উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো—
এফ-১৫জে: এফ-১৫জে হলো জাপানের একটি উন্নত যুদ্ধবিমান, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৫সি/ডি এর মডেলে তৈরি। স্নায়ুযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে এই বিমান তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকডোনেল ডগলাসের লাইসেন্সে এটি জাপানে তৈরি হয়। উন্নত রাডার ও অস্ত্র সিস্টেম। সুপারসনিক ফ্লাইট সক্ষম এক আসনের যুদ্ধবিমান এটি।
সামরিক বিমানবাহিনীর সক্ষমতায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে এশিয়ার আরেকটি দেশ পাকিস্তান। দেশটির বহরে ১ হাজার ৩৩৯টি বিমান রয়েছে।
পাকিস্তানের কাছে ৩২৮টি ফাইটার বিমান রয়েছে। অ্যাটাক বিমান আছে ৯০টি, পরিবহন বিমান ৬৪টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৫৬৫টি, বিশেষ মিশনের জন্য ২৭টি, হেলিকপ্টার আছে ৩৭৩টি, ট্যাংকার বহরে কাজ করে ৪টি আর অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ৫৭টি। তাদের কাছে থাকা উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো—
জেএফ-১৭ থান্ডার: পাকিস্তান ও চীন যৌথভাবে জেএফ-১৭ থান্ডার তৈরি করেছে। এটি বহুমুখী যুদ্ধবিমান। মাঝারি পাল্লার, আধুনিক অস্ত্র ও রাডার সিস্টেম রয়েছে। আকাশ যুদ্ধ, ভূমি আক্রমণ ও সমুদ্র টহল দিতে সক্ষম।
সামরিক বিমানবাহিনীর সক্ষমতায় অষ্টম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মিসর। দেশটির বহরে ১ হাজার ৯৩টি বিমান রয়েছে।
মিসরের কাছে ২৩৮টি ফাইটার বিমান রয়েছে। অ্যাটাক বিমান আছে ৯০টি, পরিবহন বিমান ৬১টি, প্রশিক্ষণ বিমান ৩৪৫টি, বিশেষ মিশনের জন্য ১১টি, হেলিকপ্টার ৩৪৮টি ও অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ১০০টি। তাদের কাছে থাকা উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো—
এফ-১৬: এফ-১৬ যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের তৈরি। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধক্ষেত্রে এ যুদ্ধবিমান বেশ পরীক্ষিত। এটিতে ২০ মিমি কামান রয়েছে। এ ছাড়া বোমা, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে যুদ্ধবিমানটি।
সামরিক বিমানবাহিনীর সক্ষমতায় ৯ম অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক। দেশটির বহরে ১ হাজার ৮৩টি বিমান রয়েছে।
তুরস্কের কাছে ২০১টি ফাইটার বিমান রয়েছে। পরিবহন বিমান আছে ৮৪টি, প্রশিক্ষণ বিমান ২৮৭টি, বিশেষ মিশনের জন্য ২৮টি, জ্বালানি বহরে ৭টি, হেলিকপ্টার ৫০৮টি এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ১১১টি। তাদের কাছে থাকা উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো—
এফ-১৬: তুরস্কের কাছেও এফ-১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনের তৈরি। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধক্ষেত্রে এ যুদ্ধবিমান বেশ পরীক্ষিত। এটিতে ২০ মিমি কামান রয়েছে। এ ছাড়া বোমা, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারে যুদ্ধবিমানটি।
সামরিক বিমানবাহিনীর সক্ষমতায় ১০ম অবস্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটির বহরে ৯৭৬টি বিমান রয়েছে।
ফ্রান্সের কাছে ২২৬টি ফাইটার বিমান রয়েছে। পরিবহন বিমান ১১৯টি, প্রশিক্ষণ বিমান ১৪১টি, বিশেষ মিশনের জন্য ৪৪টি, জ্বালানি বহরে ১৬টি, হেলিকপ্টার ৪৪৮টি এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার আছে ৬৮টি। ফ্রান্সের কাছে থাকা উল্লেখযোগ্য যুদ্ধবিমান হলো—
রাফাল: রাফাল যুদ্ধবিমানগুলো তৈরি করেছে ফরাসি মহাকাশ সংস্থা দাসোঁ এভিয়েশন।
সূত্র: গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ডটকম, ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অব মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফট, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও রয়টার্স।