বড়লেখা সীমান্তে আরও ১২১ জনকে পুশইন করলো বিএসএফ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও ১২১ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। রোববার (২৫ মে) রাত ২ টা থেকে সকাল ৮ টার মধ্যে উপজেলার লাতু ও পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে ১২১ জনকে পুশইন করা হয়। এসময় বিএসফের পুশইন করা ৪২ জন নারী, ৪০ জন পুরুষ ও ৩৮ জন শিশুসহ ১২১ জনকে আটক করে বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন। আটককৃতরা বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি।
এ নিয়ে বড়লেখা সীমান্তের বিভিন্ন রুট দিয়ে ভারত থেকে অনুপ্রবেশকালে মোট ২৪০ জনকে আটক করলো বিজিবি।
এদিকে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ থামছেই না। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল জোরদার করলেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পুশইন অব্যাহত রেখেছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করলেও কীভাবে বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে বিএসএফ মানুষকে ধরে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, ৫২ ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল রোববার রাত ২ টা থেকে সকাল ৮ পর্যন্ত বড়লেখা উপজেলার লাতু সীমান্তে ৭৯ ও পাল্লাথল সীমান্তে ৪২ এবং সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারের নয়াগ্রাম সীমান্ত এলাকায় আরও ৩২ জনকে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় আটক করা হয়েছে। বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ১৫৩ জনকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে তাদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের সবাইকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান পিপিএম। তিনি বলেন, বড়লেখা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে নারী, শিশু ও পুরুষসহ ১৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সীমান্তে নজরদারি আগের তুলনায় বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে। ৫২ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ১১৪ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে বিজিবি, আনসার ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় কঠোর নজরদারি চলছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম সরকার জানান, বড়লেখা উপজেলার লাতু ও পাল্লাথল সীমান্ত এলাকা থেকে আটককৃত ১২১ জনকে আনজ দুপুরে বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। বর্তমানে তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই শেষে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হবে।