সাদাপাথর লুটপাটে বাধা দেয়ায় ফটোগ্রাফারকে মারধর ও ক্যামেরা ছিনতাই
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে দীর্ঘদিন যাবত পাথর লুটপাট করছে একটি শক্তিশালী চক্র। দিনে দুপুরে পাথর লুটপাটে বাধা দেওয়ায় এক তরুণ ফটোগ্রাফার হামলার শিকার হয়েছেন। আহত মো. এমাদ আহমদ (২১)। তিনি কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফি সোসাইটির সদস্য এবং উপজেলার নাজিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী এমাদ আহমদ জানান, শনিবার (২৪ মে) দুপুরে সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে পাথর লুটপাট করছিলো একটি চক্র। এসময় সাদা পাথরে থাকা সকল ফটোগ্রাফার ও অন্যন্য পর্যটন ব্যবসায়ীরা মিলে লুটপাটে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বারকি শ্রমিকদের একটি দল তাদেরকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।
পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কালাইরাগ এলাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে লালপাথর হাজির বাগান এলাকা নামক স্থানে যাওয়ার পরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চার যুবক তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে এবং তার সাথে থাকা ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে যায় । হামলাকারীরা হলেন উত্তর রণীখাই ইউনিয়নের কালাইরাগ গ্রামের আবু বক্কর মিয়া (২৩), মানিক মিয়া (২৫), আশিক মিয়া (২৩) ও হাছন মিয়া (২৬)।
স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সহায়তায় আহত এমাদকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এমাদ কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন। উপজেলার ৫নং উত্তর রণীখাই ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন বলেন-দু’পক্ষই আমাদের এলাকার। বিষয়টি মীমাংসার জন্য চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ ফটোগ্রাফি সোসাইটির সহ-সভাপতি জাবেদ আহমদ বলেন, একটি মহল বাংকার, শাহ আরফিন টিলা, কালাইরাগ লুটপাট করে শেষ করেছে, এখন তারা সাদা পাথরে নজর দিয়েছে। আমরা সকল ফটোগ্রাফার ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা মিলে এদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি, যার ফলশ্রুতিতেই আজকের এই হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছি। দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় না আনলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।