কবি ও কবিতার প্রতি রাসূল (সা.) এর ছিল অগাধ ভালোবাসা: মুকুল চৌধুরী
দৈনিকসিলেটডটকম
মানবমনে সব যুগেই কবিতা সমাদৃত ছিল। কবিতা ও ছন্দ দিয়েই ভাষা ও সাহিত্যজগতের যাত্রা শুরু হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে সময় পৃথিবীতে আগমন করেন তখন ছিল আরবি কাব্যসাহিত্যের সোনালি যুগ। রাসূলুল্লাহ (সা.) সত্যের স্বপক্ষে অবস্থানকারী কবি-সাহিত্যিকদের পছন্দ করতেন। তৎকালীন আরব কবিদের কবিতায় ভালো ও মন্দ উভয় ধরনের কথাই ছিল। এমনকি কেউ কেউ রাসূল (সা.) এর হৃদয়ে আঘাত করেও কবিতা লিখত। রাসূলুল্লাহ (সা.) সাহাবি কবি হাস্সান বিন সাবিত (রা.)-কে কবিতা লিখে এসব কবিতার জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিতেন। কবি ও কবিতার প্রতি রাসূল (সা.) এর ছিল অগাধ ভালোবাসা। তাই রাসূলুল্লাহ (সা.) শানে যুগে যুগে অসংখ্য কবিতা লেখা হয়েছে, হচ্ছে এবং লেখা হবে আরো অসংখ্য কবিতা। ঐতিহ্যবাহী সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শানে কবিতাপাঠ ও ১২০৭তম নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসরে আলোচনাকালে প্রধান অতিথি আশির দশকের শক্তিমান কবি মুকুল চৌধুরী এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর দরগাহ গেইটস্থ কেমুসাসের সাহিত্য আসর কক্ষে সাহিত্য সংসদের কার্যকরী পরিষদ সদস্য ছড়াকার কামরুল আলমের সভাপতিত্বে আসরে আলোচনায় অংশ নেন কবি তাবেদার রসুল বকুল, কবি বাছিত ইবনে হাবীব, নাজমুল আনসারী।
ছড়াকার নাঈমুল ইসলাম গুলজারের সঞ্চালনায় আসরে লেখা পাঠে অংশ নেন ও উপস্থিত ছিলেন, কেমুসাসের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম আউয়াল, ভ্রমণ কাহিনী লেখক মোয়াজ আফসার, ঔপন্যাসিক সিরাজুল হক, মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, কবি ছয়ফুল আলম পারুল, গল্পকার তাসলিমা খানম বীথি, ছড়াকার আব্দুস সামাদ, মো. মাহবুবুর রহমান, উজ্জল খান, এনামুল্লাহ আল মাছুম, সোহেল আহমদ, কামাল আহমদ, সৈয়দ আমীর হোসাইন, সিদ্দীক আহমদ, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ চৌধুরী, সোয়েব আহমদ, দুর্জয় বিশ^াস, মোছা. সেলিনা আক্তার, জুবের আহমদ সার্জন, আতাউর রহমান বঙ্গী, রায়হান কবির, আবু হুরায়রা, সুফি আকবর, জুনাঈদ আহমদ প্রমুখ। আসরে গান পরিবেশন করেন নূর মোহাম্মদ চৌধুরী, কুবাদ বখত চৌধুরী রুবেল ও সাজিদুর রহমান। আসরের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মুহাম্মদ হুসাইন হামিদ। আসরে সেরা লেখক মনোনীত হন ছড়াকার আতাউর রহমান বঙ্গী।