বিশ্বনাথে ফসলের মাঠে দোল খাচ্ছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন ধানের শীষ
সমুজ আহমদ সায়মন বিশ্বনাথ থেকে
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠে সোনালী ধানের সমাহার। মাঠের পর মাঠ, গ্রামের পর গ্রাম এক কথায় পুরো উপজেলা জুড়ে সোনালী রোদ আর হিমেল হাওয়ায় মাঠে মাঠে দোলছে কৃষকের স্বপ্ন। প্রতিটি শীষ যেন সেই স্বপ্নের প্রত্যাশা।উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় আমনের এমন ফলন দেখে দারুণ খুশি কৃষাণ কৃষাণী। ইতিমধ্যে পুরোদমে চলছে ধান কাটা, মাড়াই ও রোদে শুকানোর কাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার লামাকাজী,খাজাঞ্চী,অলংকারী,দশঘর,রামপাশা,দৌলতপুরসহ সব এলাকায় ধান কাটার মহোৎসব।কেউ হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে, কেউ শ্রমিক দিয়ে, কেউবা আবার শ্রমিক সংকটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাঠে ধান কাটছেন এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা মাড়াইয়ের কাজে সকলের সাথে সহযোগিতা করেছেন। অনেকে আবার ধান রোদে শুকাচ্ছেন এবং পরিস্কারে রয়েছেন ব্যস্ত।কয়েকজন কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা যায় ,আমনের এমন ফলনে সবাই খুশি।তবে আগত বোরো আবাদে কৃষির সাথে সংশ্লিষ্ট উপকরণগুলোর দাম বাড়তি ভাবাচ্ছে তাদেরকে।
কৃষক জাহেদ জানান, এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত কয়েক বছর এ রকম ফলন চোখে দেখননি।তবে জমির ধান সব এক সাথে সোনালী রূপ ধারণ করায় শ্রমিক সংকট ও শ্রমিকের বাড়তি মুজুরী নিয়ে শংকিত তারা।
কৃষক মৌরশ আলী জানান,শুরুতে উপুর্যুপরি বন্যার কারনে একটু দেরিতে হলেও আমন রোপন করতে হয়েছে। তারপরও আমনের এমন ফলন ও পোঁকা মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় খুশি তিনি।
কৃষি অফিস কর্তৃক জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৩ হাজার ২০০ শত ৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে যা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার ৭০০ শত ৭৫ মেট্রিক টন।
এ বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর উপুর্যুপরি বন্যায় আমন আবাদ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও গোটা উপজেলায় অন্য যেকোন বছরের চাইতে ভাল ফলন হয়েছে যা দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে।