শেখ হাসিনা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছিলো: জামায়াত আমির
দৈনিকসিলেটডেস্ক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তিন মাস আগেও কল্পনা করতে পারিনি খোলা ময়দানে মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে দোয়া চাইতে পারবো। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সারা বাংলাদেশকে একটি কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।
রবিবার রাতে বরিশাল সফর উপলক্ষ্যে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াতের আমির আরো বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বহু মানুষকে গুম ও খুন করা হয়েছে। বহু মানুষকে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়েছিলো শুধু সত্যের পক্ষে থাকার জন্য। প্রবীণ ও বিজ্ঞ আলেমদেরও তারা জেলে দিতে দ্বিধা বোধ করেনি। তাদের পায়েও ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়েছে। কোমরে দড়ি পরিয়েছে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, অনেক সাংবাদিক আমাকে বলেন, আপনাদের কারা ২৪ এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। আমি বলি, যারা শহীদ হয়েছে তারা কোনো দলের হতে পারে না তারা সবাই আমাদের সম্পদ। তারা বুক চিতিয়ে রাস্তাই নেমে বলছিল, বুকের ভিতর অনেক ঝড় বুক পেতেছি গুলি কর। এই শহীদরা সবাই আমাদের সম্পদ। আবু সাইদ কি করেছিল, সে কি হাতে গুলি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। না সে শুধু বলেছিলো আমার অধিকার দেও। কিন্তু এই জালিমরা ৩ টা গুলি করে তাকে শহীদ করেছে। আমরা এই সকল শহীদ পরিবারের কাছে ঋণী। আমরা প্রত্যেকটা পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আপনাদের পাশে আছি। আমরা আমাদের সবোর্চ্চ দিয়ে লড়াই করে তাদের অধিকার আদায় করবো।
বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে ও মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় প্রোগ্রামে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, ভোলা জেলা আমির জাকির হোসাইন, পটুয়াখালী জেলা আমির অ্যাডভোকেট নামজুল আহসান, ঝালকাঠি জেলা আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর নায়েব আমীর হোসাইন ইবনে আহমেদ এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, হাফেজ হাসান আতিক, তারিকুল ইসলাম কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা শফিউল্লাহ তালুকদার, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আমিন, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল,শামীম কবির, মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক আনোয়ার হোসাইন, অধ্যাপক সুলতানুল আরেফিন,মুজিবুর রহমান,মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার, অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের শহীদ।