ভারতে বাংলাদেশ মিশনে হামলায় শাবিপ্রবি জিয়া পরিষদের উদ্বেগ ও নিন্দা
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত হেনেছে দাবি করে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭টায় বিএনপি-বামপন্থী সংগঠনটির সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক খালিদুর রহমানের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশ কমিশনে এ ন্যক্কারজনক ঘটনা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদায় গুরুতর আঘাত হেনেছে বলে দাবি করছেন সংগঠনটির নেতারা।
এ হামলা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও আন্তঃদেশীয় পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। একইসঙ্গে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়, “আমরা জোরালোভাবে বলতে চায় যে, কূটনৈতিক মিশনের ওপর এ ধরনের সহিংসতা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। এটি যে কোনো সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলার শামিল।
এ সহিংস ঘটনার যথাযথ বিচার চেয়ে জিয়া পরিষদের শিক্ষকরা তিন দফা দাবি তুলে ধরেন, এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করা হোক, অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক এবং এই ধরনের হামলার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হোক।
পরিষদেন নেতারা দু’দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দু’দেশের জনগণ শান্তি, সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে সহযোগিতার পথকে আরও সুদৃঢ় করবেন।
শাবিপ্রবি জিয়া পরিষদের সহসভাপতি অধ্যাপক শাহ মো. আতিকুল হক বলেন, “আগরতলায় বাংলাদেশের হাইকমিশনে এ সহিংসমূলক ঘটনা দেশীয় সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মর্যাদার উপর আঘাত হেনেছে। এই ধরনের আচরণ সমাজের সভ্যতা ও ভদ্রতার প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করে এবং বৈশ্বিক সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।”
ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। দুই দেশের কল্যাণে দেশদ্বয়ের মধ্যে রাজা-প্রজা সম্পর্ক থাকা কোনভাবেই কাম্য নয়। হাইকমিশনের সহিংস ঘটনায় সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। নতুবা ভারতের এসব বৈরিতামূলক আচরণ এ দেশের মানুষ মেনে নিবে না।