ডা. নাঈমের জন্মদিনে এনজেএল টিম্পানোপ্লাস্টি ডে
‘চিকিৎসা সেবায় ডা. নাঈম পথিকৃৎ হয়ে থাকবেন’
দৈনিক সিলেট ডট কম
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেছেন, সিলেট অঞ্চলের চিকিৎসা সেবায় ডা. নূরুল হুদা নাঈম এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের কল্যাণে তার বিশাল কর্মযজ্ঞ আমাদের আশাবাদী করে তোলে। তিনি বলেন, ডা. নূরুল হুদা নাঈম তার জন্মদিনকে উপলক্ষ করে যেসব ভালো কাজ করে যাচ্ছেন তা এককথায় অতুলনীয় ও প্রশংসাযোগ্য।
ডা. নাঈম তার কাজের মাধ্যমে সবসময়ই ব্যতিক্রম। ভবিষ্যতে শহরের বাহিরে গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে চিকিৎসা সেবা দেবেন বলে যে ঘোষণা এনজেএল ফাউন্ডেশন দিয়েছে সেটা এগিয়ে নিতে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। তিনি গতকাল বেলা ২টায় নগরীর মধুশহীদস্থ এজেএল ফাউন্ডেশনে বরেণ্য ইএনটি চিকিৎসক, ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও ইএনটির বিভাগীয় প্রধান ডা. নূরুল হুদা নাঈমের জন্মদিন উপলক্ষে ‘আসুন জন্মদিনে একটি ভালো কাজ করি’ শ্লোগান নিয়ে এনজেএল টিম্পানোপ্লাস্টি ডে-তে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ওমর রাশেদ মুনীর বলেন, জন্মদিনে কেবল আমরা উৎসব আনন্দ করে লাখ লাখ টাকার অপচয় করি, কিন্তু ডা. নাঈমের জন্মদিন পালন সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম ও আলাদা।
আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানের উপস্থিত হয়েছি। তিনি বলেন, ডা. নাঈমের মাধ্যমে দেশের মানুষ আরো বেশি করে সেবা পাক, সেটা আমি মন থেকে কামনা করি। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে ডা. নাঈমের ভালো কাজের বর্ণনা শুনে বলতে ইচ্ছে করে জাতীয় দিবসের সংখ্যা আরো বাড়ুক।
এনজেএল ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব এডভোকেট রেজাউল করিম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও এনজেএল গর্বিত মা-বাবা সম্মাননা প্রকল্পের সদস্য সচিব এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, ডা. মিয়া মোহাম্মদ আক্কাস, ডা. আমিনুল ইসলাম, এডভোকেট মঈন উদ্দিন মঞ্জু, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, ডা. জহিরুল ইসলাম ও ডা. মঈনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান শেষে এনজেএল টিম্পানোপ্লাস্টি ডে উপলক্ষে ২১ জন রোগীর কানের পর্দা জোড়া লাগানোর অপারেশন ঘোষণা দেন ডা. নূরুল হুদা নাঈম। যা তার জন্মদিনে শুরু হয়ে শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
উল্লেখ্য, জন্মদিনে এজেএল টিম্পানোপ্লাস্টি ডে উদযাপন ছাড়াও ডা. নূরুল হুদা নাঈম ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ও ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে ফ্রি ইএনটি যেকোনো অপারেশন ১০টি করে থাকেন। এছাড়াও মাসের প্রতি সপ্তাহে ১ জন রোগীর ফ্রি অপারেশন ও ১ জন রোগীর সার্জন ছাড়া অপারেশনের সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে। তার ফাউন্ডেশন থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ শতাধিক রোগীর ফ্রি অপারেশন করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, নবজাতক থেকে শুরু করে বয়স্কদেরও কানে শোনার পরীক্ষা এবং কানে শোনার যন্ত্র (হিয়ারিং এইড) স্বল্পমূল্যে এবং ক্ষেত্র বিশেষ বিনামূল্যে প্রদান করা হয় বলে তিনি জানান।
এবার যেসব রোগীদের কানের পর্দা জোড়ানো লাগানো হবে তারা হচ্ছেন-
১. সাইদুর রহমান-২০ (গোলাপগঞ্জ), ২. তাহমিনা বেগম-১৭ (বিয়ানীবাজার), ৩. মাওলানা জাফর আহমদ-৩০ (গোলাপগঞ্জ), ৪. সোহাগ আহমদ-২৮ (মুন্সিপাড়া), ৫. সীমা বেগম-১৯ (টুকের বাজার), ৬. জাহানারা বেগম-৩৫ (কোম্পানীগঞ্জ), ৭. ফাতেমা বেগম-২৪, (দোয়ারাবাজার), ৮. লিজা বেগম-১৮, (লামাকাজী), ৯. কুলছুমা জান্নাত-১৭ (উপশহর), ১০. সাজেল আহমদ-২৩ (টুকের বাজার), ১১. সাইদুল হাসান-১৯ (কোম্পানীগঞ্জ), ১২. সাব্বির আহমদ-২৩ (নয়াসড়ক), ১৩. মরিয়ম-৩৭ (গোবিন্দগঞ্জ) ১৪. তাসকিরা বেগম-২৮ (বিশ্বনাথ), ১৫. আবিদা-১৩ (কদমতলী), ১৬. আলীমা বেগম-২২ (জগন্নাথপুর), ১৭. তানিয়া তাবাস্সুম দীপা-২০ (টুকেরবাজার), ১৮. খোদেজা বেগম-৩২ (কানাইঘাট), ১৯. রেহানা বেগম-৩৫, ২০. রত্না বেগম-৩৮ (দিরাই), ২১. কামরান আহমদ (শামীমাবাদ)