অসংখ্য মানুষকে কুরআন ও নামায শিক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে নাসীহা ফাউন্ডেশন

দৈনিকসিলেট ডেস্ক:
অতীতের ন্যায় এবারও সিলেটে শিশু-কিশোর, ও বয়স্কদের পৃথক পৃথকভাবে কুরআন-নামায ও দ্বীনের বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দিচ্ছে নাসিহা ফাউন্ডেশন। ১ম রামাদ্বান থেকে ফাউন্ডেশনের ‘তাদরীবুল কুরআন’ প্রজেক্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রতিদিন বাদ যোহর থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে কচিকাঁচাদের সূরা, দোয়া-দুরুদ এবং কিশোরদের আমপারা, কুরআন শরীফের পাঠদান। অন্যদিকে পৃথকভাবে বয়স্কদের প্রশিক্ষণ চলে। বিশুদ্ধভাবে ওযু শিক্ষা, সূরা শিক্ষা, নামায শিক্ষাসহ দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন মাসআলা-মাসাঈল শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
সিলেট নগরীর রায়নগর সোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও সিলেটের প্রয়াত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আব্দুস সালাম রহ. এর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষে ফাউন্ডেশনের কর্ণধার মুফতি শাইখ হাবীব নূহ ও মুফতি শামীম মুহাম্মদ এই কার্যক্রমের সূচনা করেন। এ বছর পূর্ব সিলেটে ৪টি মসজিদে নাসীহা ফাউন্ডেশনের ‘তাদরীবুল কুরআন’ প্রজেক্ট ২৪ রামাদ্বান পর্যন্ত চলবে। পরিদর্শণকালে দেখা যায় ৪টি কেন্দ্রে চার শতাধিকের বেশি প্রশিক্ষণার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
নাসীহার কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো হলো- সিলেট নগরীর রায়নগর সোনারপাড়া জামে মসজিদ, বটেরতল বায়তুর রহমান জামে মসজিদ, ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের বংশীধর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, এবং বংশীধর বায়তুল মুকাররাম জামে মসজিদে চলছে কুরআন শিক্ষা প্রশিক্ষণ। রামাদ্বানের এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে তারা বইপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় শিক্ষা উপকরণের ব্যয় এমনকি পরীক্ষা গ্রহণের পর সার্টিফিকেট ও ভালো হাদিয়া পরিবেশনও ফাউন্ডেশনটি করে থাকে বলে নাসীহা সূত্র জানায়।
অপরদিকে, শিশু ও বয়স্কদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছেন শিক্ষকরা।তাঁরা আন্তরকিতার সাথে কুরআনে কারিমের খেদমত করে যাচ্ছেন। রায়নগর সোনারপাড়া জামে মসজিদ কেন্দ্রের জিম্মাদার হাফেজ হাসান বিন আব্দুল লতিফ বলেন, নাসীহা ফাউন্ডেশনের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কোমলমতি শিশু-কিশোর, এবং বয়স্ক লোক কোরআন সহিহ-শুদ্ধ করে পড়ার যোগ্যতা অর্জন করছে। তার দাবী এই সুমহান কাজ পূরা বছর চালু থাকলে মুসলিম উাম্মাহের জন্য অশেষ কল্যাণ বয়ে আনবে।
বংশীধর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কেন্দ্রের জিম্মাদার মাওলানা মঈনুল ইসলাম বলেন, নাসীহার এই উদ্যোগের ফলে শিশু,কিশোর,যুবক এবং বৃদ্ধ সকলেই কুরআনুল কারীমকে শুদ্ধভাবে পড়ার স্বাদ এবং দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন মাসআলা মাসায়িল জানার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি এলাকার পক্ষ থেকে নাসীহার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
নাসীহা ফাউন্ডেশনের স্বপ্নদ্রষ্ঠা বরেণ্য আলেম ও ইসলামিক স্কলার মুফতি শাইখ হাবীব নূহ বলেন, রামাদ্বান কুরআন নাজিলের মাস। এই মাসটি আমাদের কাছে আসে কুরআন শিক্ষার সুবর্ণ সুযোগ নিয়ে। তাই সময়কে গনীমত মনে করে আমাদের ঈমানী তাকাযা তথা চাহিদা হলো কুরআন শিক্ষা অর্জন করা। তেলাওয়াত শুদ্ধ না হলে নামায হবে না।আর নামায যথার্থ না হলে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক সুন্দর হবেনা।আমার মরহুম আব্বা আলহাজ্ব আব্দুস সালাম রহ. এর খুব ইচ্ছা ছিল যে মুসলমান যুবক, বয়স্কদের মাঝে কুরআনী শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়া। সবাই যাতে শুদ্ধভাবে কুরআন শিখতে পারে এর জন্য প্রতিটি এলাকায় মক্তব বা কেন্দ্র সৃষ্টি করা।
রামাদ্বান প্রজেক্টের সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রাকিব রকুর তদারকিতে কেন্দ্রগুলো পরিদর্শণ করে থাকেন নাসীহা ফাউন্ডেশনের পরিদর্শক ক্বারী মাওলানা আতিকুর রহমান নগরী ও মো. দিলদার হোসেন। প্রচার প্রকাশনাসহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নাসীহার এই আয়োজনকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল আল্লাম রামীম ও আলহাজ্ব আব্দুল কাইয়ূম।