বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জে “কিশোরী কথন: আমার আমি” অনুষ্ঠিত
কিশোরী মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, মাসিককালীন পুষ্টি এবং পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, পুষ্টিবিদ, চিকিৎসক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (২৬ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জের জহুর চাঁন বিবি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত হলো সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান “কিশোরী কথন: আমার আমি”।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লব হোম দাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শায়েস্তাগঞ্জ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ মডেল থানার এসআই জহিরুল ইসলাম, জহুর চাঁন বিবি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাকিব।
সেশনে কিশোরীদের মাসিককালীন স্বাস্থ্য, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, সুষম খাদ্যাভ্যাস, আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের গুরুত্ব এবং স্থানীয় পুষ্টিকর খাবারের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়। কিশোরীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা রক্ষায় কীভাবে দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন আনা যায়- তা তুলে ধরেন উপস্থিত বিশেষজ্ঞগণ।
অনুষ্ঠানের ইন্টারেক্টিভ সেশন পরিচালনা করেন: জয়া রানী মণ্ডল, ইয়ুথ লিডার, গেইন এবং সান ইয়ুথ নেটওয়ার্ক এবং হার্ডওয়ার নিউট্রিশন বিডি এর প্রেসিডেন্ট। এবং পুষ্টিসেবা পরামর্শ দিয়ে অনুষ্ঠানটিকে প্রাণোচ্ছল করেন- রেবেকা সুলতানা, ডায়েটিশিয়ান, এসআইবিএল ফাউন্ডেশন; সাধারণ সম্পাদক, পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশন। কাজী হামিদা বানু বর্ষা, কোষাধ্যক্ষ, পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশন। তাপস দেব রাহুল, ক্লিনিকাল নিউট্রিশনিস্ট, ওয়েসিস হাসপাতাল, সিলেট। দীপেন মহাজন, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার, ইউনাইটেড ফর্টিফিকেশন ইন্ডাস্ট্রিজ। নার্গিস সুলতানা মিতু, ইন্টার্ন পুষ্টিবিদ, পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশন ।
অনুষ্ঠানটি তত্ত্বাবধান করেন উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও তরুণ বিজ্ঞানী মুশাহিদ মজুমদার। বিশেষ ভূমিকা পালন করেন আল-আমিন সাঈফী, গাঁও গঞ্জে পুষ্টি টিমের লিডার ও উদীয়মান ইসলামিক স্কলার। যুব নেতৃত্বে ছিলেন জয়া রাণী মণ্ডল, গেইন এবং সান ইয়ুথ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী।
অনুষ্ঠানটির আয়োজনে ছিল উদ্ভাবনী বিজ্ঞান ক্লাব, হার্টওয়াইজ নিউট্রিশন বিডি ও গাঁও গঞ্জে পুষ্টি টিম। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল এসএমসি (SMC) ও পুষ্টিবিদ ফাউন্ডেশন, এবং সহযোগিতায় ছিল GAIN ও SUN Youth Network Bangladesh।
এতে অংশগ্রহণ করে শায়েস্তাগঞ্জের ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান : জহুর চাঁন বিবি মহিলা কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমি এন্ড হাই স্কুল, শায়েস্তাগঞ্জ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, শায়েস্তাগঞ্জ আইডিয়াল স্কুল, শায়েস্তাগঞ্জ গার্লস স্কুল ও শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়।
আয়োজকরা জানান, “কিশোরী কথন: আমার আমি” শুধু একটি স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক আয়োজন নয়—এটি কিশোরীদের আত্মশক্তি, আত্মপরিচয় এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার এক অনুপ্রেরণামূলক মঞ্চ। তারা আশাবাদী, এই আয়োজন কিশোরীদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।