বিয়ানীবাজারের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করলেন ইউএনও
সিলেটের বিয়ানীবাজারের বিস্তৃর্ণ প্লাবিত হয়েছে। ভারতের পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে উপজেলার দুবাগ, শেওলা, কুড়ারবাজার, মুড়িয়া, মাথিউরা, তিলপাড়া ও পৌরসভার কিছু অংশে বন্যা দেখা দিয়েছে। চলাচলের রাস্তা, হাটবাজার, ও বসতবাড়ি কবলিত হয়েছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার মহাসড়কের আঙ্গারজুর এলাকার উপর দিয়ে বইছে বানের পানি। বন্যা কবলিত মহাসড়ক, হাটবাজারসহ বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না। তিনি জানান, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে গত শনিবার কন্ট্রোল রুম স্থাপন এবং ৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। একই নদীর জকিগঞ্জের অমলসীদে ১দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুবাগ, শেওলা ও কুড়ারবাজার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং বৈরাগীবাজারের সবজি ও মাছ বাজার প্লাবিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এসব এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। এতো ভোগান্তি ও ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ঝুঁকির মূখে রয়েছে কুশিয়ারা নদীর গজুকাটা এলাকার ডাইক। বিজিবি সদস্যরা বালুবর্তী বস্তা ফেলে ক্ষতিগ্রস্থ ডাইক মেরামত করেছেন। তবে নদীর পানি চাপে এ বাঁধ যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।
এদিকে আবার ক্ষনে ক্ষনে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সুরমা-কুশিয়ারার পানি। বিয়ানীবাজারের শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৬ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট-বিয়ানীবাজার সড়কের একাধিক স্থানে পানি ওঠেছে। কুশিয়ারা ও সুরমা তীরবর্তী বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্টান পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যা পরিস্থিতির আরোও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৈরাগীবাজারের মূল এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
বন্যার্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ৪৪ মেট্রিকটন চাল, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ১৪৫ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান, পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ আছে। আমরা প্রকৃত বন্যার্ত পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবো।