সিলেটের পশুর হাটে নজর কাড়ছে ‘বিগ বস’ ও ‘পুষ্পা’
সিলেট নগরে আলাদা করে নজর কাড়ছে ‘বিগ বস’ ও ‘পুষ্পা’ নামের দুটি গরু। এবারের কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সোমবার নগরের কাজির বাজার পশুর হাটে শাহিওয়াল জাতের গরু দুটিকে আনা হয়।
গরু দুটির মালিক মৌলভীবাজারের কামালপুরের বাসিন্দা ফরিদ আহমদ। আল সাফা অ্যাগ্রো নামের একটি গরুর খামারে ‘বিগ বস’ ও ‘পুষ্পা’কে বড় করেছেন তিনি।
ফরিদ জানান, বিগ বসের ওজন প্রায় ২৫ মণ ও পুষ্পার প্রায় ২২ মণ। এ কারণে হাটটিতে দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের নজর কাড়ছে পশুগুলো।
আজ সোমবার দুপুরে কাজির বাজার হাটে দেখা যায়, হালকা লাল ও সাদা রঙের বিগ বস গরুটি শান্ত অবস্থায় খুঁটির সঙ্গে বাঁধা। এর পাশে ছিল কালো রঙের একই প্রজাতির আরও একটি গরু। সেটির নাম পুষ্পা। গরুগুলো হাটে নিয়ে আসার পর থেকে দর্শনার্থী ও ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছিলেন। কেউ কেউ গরুগুলোর দাম জানতে চাচ্ছেন। বিভিন্ন বয়সী মানুষজন গরুর সঙ্গে ছবি ও ভিডিও ধারণে ব্যস্ত সময় পাড় করছিলেন।
ফরিদ বলেন, গত শনিবার রাতে তিনি কাজির বাজার পশুর হাটে কয়েকটি গরু নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে আলাদা করে বিগ বস, পুষ্পা ও সুলতান নামের তিনটি গরু তাঁর কাছে বিশেষ। শখের বশে প্রায় ছয় বছর আগে খামার শুরু করেছিলেন। এখন শখের পাশাপাশি আয়েরও একটি উৎসে পরিণত হয়েছে এটি। তাঁর খামারে শতাধিক গরু রয়েছে। গত কোরবানির ঈদেও অর্ধশতাধিক গরু বিক্রি করেছিলেন। এবারও বেশ কয়েকটি গরু এনেছেন। বাজার ভালো হলে আরও গরু আনবেন।
বিগ বস সম্পর্কে জানতে চাইলে ফরিদ আহমদ বলেন, গরুটি প্রায় এক টন ওজনের। চার বছর ধরে বাছুর অবস্থা থেকে লালন-পালন করছেন তিনি। গরুটি অনেকে দেখে আকৃষ্ট হয়ে দাম জিজ্ঞেস করছেন। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে দাম বলছেন না। কেউ কৌতূহলে দাম জানতে চাইলে তিনি কখনো ১৩ লাখ আবার কখনো ১৪ লাখ টাকা বলছেন। মূলত বিগ বস গরুটির দাম কত টাকা ওঠে, সেটি দেখতে চাচ্ছেন। যদি মন মতো দাম হয়, তবেই গরুটিকে বিক্রি করে দেবেন।
ওই খামারি আরও বলেন, বিগ বস গরুটির খাওয়ার পেছনে দৈনিক প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা খরচ করতে হয়। খাবার হিসেবে খড়, ভুসিসহ অন্য খাবার দেন।
বিগ বস ও পুষ্পা গরু দুটিকে দেখছিলেন মাছুদীঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, মূলত বড় গরু দেখে ভালো লেগেছে। তবে এত বড় গরু তিনি নেবেন না। তাই হাটে মাঝারি আকারের গরু খুঁজছেন। এরপরও বড় গরু দেখে দাম জানতে চেয়েছিলেন। বিক্রেতা ১৪ লাখ টাকা দাম চেয়েছেন।
সিলেটে কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে ব্যাপারীরা বাজারে কম আসছেন জানিয়ে কাজির বাজার পশুর হাটের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, অনেক ক্রেতাই যোগাযোগ করে আসার কথা জানিয়েছেন। শহরের ভেতরে হওয়ায় কোরবানির দুই দিন আগে বাজার জমজমাট থাকে। বাজারে মাঝারি ও কিছু ছোট গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরুগুলোর দাম শোনার পর কেউ কেনার সাহস করতে পারছেন না।