চোখ ভালো রাখবে যেসব খাবার
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
মানবদেহের সংবেদনশীল অঙ্গ চোখ। দৈনন্দিন জীবনের কর্মব্যস্ততার প্রভাব পড়ে আমাদের চোখের ওপর। শিক্ষার্থী, কর্মজীবী বেশিরভাগ মানুষই আজকাল ব্যবহার করছেন চশমা। একটানা বই পড়া অথবা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন মোবাইল, কম্পিউটার, ল্যাপটপের বেশি ব্যবহার চোখের দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ধরনের খাবার চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।
পালং শাক
পালং শাকে রয়েছে লুটেইন ও জেক্সানথিন, ক্যারোটিনয়েড নামে পরিচিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ক্ষতিকারক আলো ও অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রেটিনাকে রক্ষা করার জন্য এই পুষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে এতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ছানি ও ম্যাকুলার অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমিয়ে চোখের স্বাস্থ্যকে আরো ভালো রাখে।
গাজর
সুস্বাদু একটি সবজি গাজর। এটি মূলত কাঁচাই খাওয়া হয়। এটি বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ, যা শরীর ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত করে। এটি রেটিনার স্বাস্থ্য এবং কম আলোর দৃষ্টিশক্তি বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু বিটা-ক্যারোটিনের আরেকটি চমৎকার উৎস। এতে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এই পুষ্টির সংমিশ্রণ কর্নিয়ার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে, শুষ্ক চোখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে।
ডিম
ডিম চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর লুটেইন ও জেক্সানথিন রয়েছে, যা ক্ষতিকারক নীল আলো ফিল্টার করতে এবং রেটিনাকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। ডিমও জিঙ্ক সরবরাহ করে, যা রেটিনার স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাকুলার অবক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কমলা
কমলা ও অন্যান্য সাইট্রাস ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। ভিটামিন সি চোখের ছানির বিকাশ প্রতিরোধ করে এবং চোখের রক্তনালী ভালো রাখে। এটি চোখ সহ টিস্যুর মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণেও অবদান রাখে। নিয়মিত কমলা ও অন্যান্য সাইট্রাস ফল খাওয়ার অভ্যাস এই প্রয়োজনীয় ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং চোখ ভালো রাখে।
বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বীজ যেমন বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ ও ফ্ল্যাক্সসিড ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস। সেইসঙ্গে এতে আরো থাকে ভিটামিন ই। ওমেগা-৩ রেটিনার গঠনগত অখণ্ডতা বজায় রাখতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ভিটামিন ই একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা চোখের কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আপনার খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ যোগ করুন।