ক্যাসিনো-ডলার ফাঁদ, প্রতারণা চক্রের ৪ সদস্য গ্রে/প্তা/র
রংপুরের মিঠাপুকুরে অনলাইন ক্যাসিনো ও ডলার প্রতারণা চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন থানার ওসি নুর আলম সিদ্দিকী। গ্রেপ্তাররা হলেন- গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ নয়াপাড়া এলাকার লাল মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৩২), হাফিজুর রহমান (৩৩), শামীম মিয়া (২৪) এবং একই এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে সুমন সরকার ওরফে তিতাস (২৮)।
অভিযোগকারী রিপন মিয়া বলেন, ‘আমি সম্প্রতি ডলার কেনাবেচার নামে প্রতারণার শিকার হই। আমাকে বড় অঙ্কের লাভের লোভ দেখানো হয়। পরে নির্দিষ্ট স্থানে ডাকা হলে আমি কৌশলে অজ্ঞান হয়ে যাই। জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমার সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা নেই। পরে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।’
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে এ ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চলছিল। তবে সম্প্রতি কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চক্রটি মূলত অনলাইনভিত্তিক প্রতারণা চালাত। তারা ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে ‘ডলার কেনা-বেচা’, ‘অনলাইন ক্যাসিনোতে দ্রুত টাকা জেতার সুযোগ’ ইত্যাদি প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করত। এরপর ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব হাতিয়ে নিত। মিঠাপুকুর থানায় ওই চক্রের চার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে
ওসি নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘স্থানীয় রিপন মিয়া নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি অনলাইনে ক্যাসিনো পরিচালনা ও ডলার কেনাবেচার নামে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলছিল। প্রথমে তারা লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে ভুক্তভোগীদের নির্জন স্থানে ডেকে নিত। এরপর কৌশলে অজ্ঞান করে তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘শুধু রংপুরেই নয়, দেশের বিভিন্ন জেলাতেও এই চক্র একই কায়দায় প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’