সুনামগঞ্জে গাজীনগরীর হত্যায় হাফিজের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সহ-সভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজীনগরীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় সন্দেহ জনক ভাবে আটক জমিয়তের অপরাংশের নেতা এম আব্দুল হাফিজের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে দিরাই আমল গ্রহণকারী আদালতে তাকে হাজির করা হলে বিচারক এফ এম সাফায়েত সালাম আদালত উভয়পক্ষের শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এসময় এম আব্দুল হাফিজের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে আদালত চত্ত্বরে বিক্ষোভ করেন জমিয়ত নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের জমিয়ত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা হাম্মাদ আহমদ গাজিনগরী, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের জমিয়ত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা হাফিজ মুখলিছুর রহমান চৌধুরী, জেলা জমিয়তের নেতা মাওলানা রুকন উদ্দীন, মাওলানা রফিক আহমদ উলাশনগরী, মাওলানা আব্দুর রকিব, মাওলানা রমজান হোসাইন, মাওলানা আরশাদ নোমান, যুবনেতা ত্বোহা হোসাইন প্রমুখ।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড মাসুক আলম ও অ্যাড শেরেনুর আলী জানান,,এটি পূর্ব পরিকল্পিত না রাজনৈতিক কোনো বিরোধে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে এসব রহস্য উদঘাটনের জন্য আদালত শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর পূর্বে গত রবিবার রাতে দিরাই থানায় হাফিজের নাম উল্লেখ করে নিহতের স্ত্রী রুবি বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সোমবার ভোরে সিলেট নগরী থেকে আব্দুল হাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর বিকেলে দিরাই আমল গ্রহণকারী আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সাফায়েত সালাম তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করলে আদালত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রিমান্ড শুনানীর তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।
উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জ শহর থেকে শান্তিগঞ্জের গাজীনগরের বাড়ীতে ফেরার পথে মদনপুর থেকে নিখোঁজ হন মুশতাক। নিখোঁজের তিন দিন পর শুক্রবার সকালে দিরাই উপজেলার পুরাতন সুরমা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর উত্তাল হয়ে উঠে সুনামগঞ্জ জেলা। গাজীনগীর হত্যা কারীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন, সুনামগঞ্জ সিলেট সড়ক ব্লকেট সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।