যাদুকাটা নদীর ২ বালুমহালে বালু উত্তোলন শুরু
লাল নিশান টানিয়ে বহুল আলোচিত সুনামগঞ্জ জেলার সর্ববৃহৎ বালুমহাল যাদুকাটা ২ এর দখলনামা তাহিরপুর সদর তহশীলদার রুহুল আমিন ইজারাদার শাহ রুবেলকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা বাদাঘাট ইউনিয়নের যাদুকাটা নদীতে সরজমিনে যাদুকাটা ২ বালুমহালের দখলনামা দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাদল মিয়া, তাহিরপুর কয়লা আমদানীকারক সমিতির সভাপতি খসরুল আলম, যাদুকাটা ১ এর ইজারাদার নাছির উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন, বাদাঘাট বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল সিকদার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, শফিকুল ইসলাম,জুবায়ের জয়নাল, আলী আহমদ প্রমুখ।
জানা গেছে, ১৪৩২ বাংলা সনে যাদুকাটা ১ ইজারা পায় নাছির মিয়া ও যাদুকাটা ২ বালুমহাল এর ইজারা পায় শাহ রুবেল। যাদুকাটা ২ এর ইজারামূল্য পরিশোধ করায় বুধবার যাদুকাটা নদীতে লালনিশান টানিয়ে ইজারাদার শাহ রুবেল কে সরেজমিন দখলনামা সমঝে দেয়া হয় এবং যাদুকাট ১ এর ইজারামূল্য পরিশোধ করা হলে পরিবর্তিতে দখনামা বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
তাহিরপুর সদর তহশীলদার রুহুল আমিন জানান,যাদুকাট ২ বালু মহাল এর দখলনামা অনুয়ায়ী নির্ধারিত সীমানার ভেতরে ইজারাদার বালু উত্তোলন করতে পারবেন,তার সীমানা নির্ধারণ করে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, আর আইনি কোন বাধা নেই।
যাদুকাটা ২ এর ইজারাদার শাহ রুবেল মিয়া জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি তহশিলদারের মাধ্যমে বালুমহাল ২ বুঝে পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, এখন বালু মহালে বালু উত্তোলন করা যাবে কোন বাধা নেই।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান মানিক জানান, সীমানা নির্ধারণ করে যাদুকাটা ২ এর ইজারাদারকে তার বালু মহাল বুঝিয়ে দেয়া হলেও যাদুকাটা ১ এর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি। পেলে ইজারাদারকে তার সীমানা নির্ধারণ করে বুঝিয়ে দেয়া হবে।