আদিপুর্বের উচ্চারণ
দৈনিক সিলেট ডট কম
-শাহ সোহেল আমিন
আমার আদিপুর্বে উচ্চারিত আওয়াজের
ধ্বনিত নাম অ আ খ ধ।
যা দিয়ে সোনালী পেশীর সুপুরুষেরা
বলতে শিখেছিল-ধান দূর্বা দুধ!
হাজার হাজার বছর আগে
যার সাথে দেখা শুনা হয়েছে আমার
ভালোবেসেছি তারে
বাসরের বউয়ের লাখান
সেও মিশেছিল এমন, মা হারা তিতর শাবকের সমান
যেনো তাতে আমি – আমাতে সে বহমান।
বুনেছি স্বপ্ন; মাটিতে এঁকেছি বলাকাঘর
হাওয়া আর জলে অতল ভেসেছি নিরন্তর
যতই বড় হই- ততই না বাড়ে গড়াগড়ি
আমাদের প্রেম দেখে ফোঁড় ধরে শকুনের ক্ষুধার্থ বুকে
চিলিকে ঝাপ্টে ধরে বিলাতে চিড়িয়ার আহার
যেনো কেউ হাত দিয়ে টেনেনিলো কলিজার থোর
পেতে দেই আহত সিনার পাটা;
কইতে পারিনা কিছু আর..
ধূয়ায়িত অন্ধকারে চোখ মেলে দেখি
রক্তাক্ত বাহুছঙ্গলে জড়ায়েছি তারে..!
নিস্তব্ধ বাঁশির সুরে যতটা চন্না ঘোরে
আগুনের লাভা হয়ে লেপ্টে আছে সিঁদুরের লাল
নিরাই পড়ে আছে আমার-ছালাম বরকত রফিক ও জব্বারের লাশ।
যে ফাল্গুনে পাখি ডাকে-কোকিল শুনায় কন্ঠের অমৃত সুধা;
জংলায় জৌবন আসে, চৌবনে ফিরে সুখের ধ্বারা।
আটে তার ভেঙ্গে পড়ে আঠারো পর্বত
অভাগী মায়ের আহাজারী-আকাশ বাতাসে করে ফেরি
ভাই বোন বাবার কান্নারোদনে কাশবন নূয়ে পড়ে।
তার পরেও রুখে দাঁড়াই, উঠে দাঁড়াই
বাংলায় বলি কথা
বাংলা আমার ভালোবাসা
প্রাণখোলা মমতা।
বাংলায় লিখি প্রেমের চিঠি
বাংলায় ডাকি মা
বাংলায় কহি খালা পিসি
বাংলা অন্নদা
বাংলায় হাসি বাংলায় কাঁদি
বাংলায় করি পণ
যতবার আসি ততবার যেনো
বাংলাতে হয় মরণ।