শ্রীমঙ্গলে সার ডিলারদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, সংবাদ প্রকাশের পর কমিটি গঠন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বিসিআইসির সার ডিলারদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম শিরোনামে দৈনিক সিলেট ডটকম পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর গত (১৪ অক্টোবর) মঙ্গরবার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কমিটি পৌর এলাকার চার সাব ডিলারকে শোকজ করেছে। তাদের মধ্যে দুইজন সাব ডিলার শোকজের জবাব দিয়েছেন বাকী ডিলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জানিয়েছেন কমিটির আহবায়ক উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা উজ্জ্বল সূত্রধর। এর আগে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর তারিখে দৈনিক সিলেট ডটকম পত্রিকায়‘ শ্রীমঙ্গলে বিসিআইসির সার ডিলারদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম’ শিরোনামে বিসিআইসি ডিলারদের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
জানা যায়, ২০০৯ সালে তৎকালীন সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাতীয় পার্টির কর্মী-সমর্থকদের এক পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়নের বিসিআইসি সারের ডিলারশীপ প্রদান করা হয়। ওই দশ ডিলারের মধ্যে আবার একই পরিবারের একাধিক ডিলারও রয়েছেন। ১ নম্বর মির্জাপুর ইউনিয়নের ডিলার হাজী মস্তান মিয়া, তার ছেলে বদরুল ইসলামের নামে রয়েছে পৌর এলাকায় সাব ডিলার। ৩ নম্বর শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন এলাকার ডিলার অনুকূল চন্দ্র দাশের আপন ভাই পরিমল দাশ ৯ নম্বর সাতগাঁও ইউনিয়ন এলাকার ডিলার এবং অনুকূল চন্দ্র দাশের দুই শালা(অর্থাৎ বৌয়ের ভাই) পান্না লাল দাশ, বকুল দাশের নামে পৌর এলাকায় রয়েছে সাব ডিলার এবং পান্না লাল দাশ নিজে জানেন না তার নামে যে সাব-ডিলার রয়েছে। অপরদিকে ৬ নম্বর আশীদ্রোন ইউনিয়ন এলাকার ডিলার স্বপন কপালী ও ৮ নম্বর কালীঘাট ইউনিয়ন এলাকার ডিলার শান্ত কপালী ভাতিজা (আপন ভাইয়ের ছেলে)। শ্রীমঙ্গল পৌরসভা এলাকার জন্য মোমিনুল হোসেন সোহেলের মালিকানাধীন সোহেল এন্টারপ্রাইজ বর্তমানে তিনি রাজনীতি মামলায় জেলে রয়েছেন তার নামে সার উত্তোলন করেছেন সিন্দুরখানের ডিলার মিতালী এন্টার প্রাইজ এর পলাশ। পরিমল দাশের ও দুই শালা (অর্থাৎ বৌয়ের ভাই) এর ডিলারশিপ পরিচালনা করছেন অনুকূল চন্দ্র দাশ এবং শান্ত কপালীর ডিলারশিপ পরিচালনা করছেন স্বপন কপালী। আবার খুচরা সাব ডিলার অনেকেই করছেন না ব্যবসা, তাদের নামে রয়েছে সাব-ডিলার।
এ বিষয় নিয়ে সরজমিন অনুসন্ধানপূর্বক গত ৩০ সেপ্টেম্বর তারিখে দৈনিকসিলেট ডটকম পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেন উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। অবশেষে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসারকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন: উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সদস্য, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সদস্য, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা এর প্রতিনিধি সদস্য, ইউ’পি চেয়ারম্যান/প্যানের চেয়ারম্যান সদস্য।