জমিয়ত থেকে শাহীনুর পাশা পদত্যাগ করলেন
দৈনিকসিলেটডেস্ক
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতাদের সাথে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ শাহীনুর পাশা চৌধুরী। পরে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানান, এটা তার ব্যক্তিগত সাক্ষাত ছিল, দলীয় নয়।
এর রেশ ধরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীর প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ স্থগিত করা হয়। পুরো বিষয়টি নিয়ে দল এবং সাধরণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
শনিবার(২৫ নভেম্বর) রাত ১০টায় তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখা এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, অশ্রুশিক্ত নয়নে প্রাণাধিক প্রিয় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ থেকে পদত্যাগ করলাম।
বিএনপির টিকেট নিয়ে এমপি হওয়া জমিয়তের সদ্য সাবেক এই কেন্দ্রীয় নেতা তাঁর ফেসবুক আইডিতে আজ আরো লিখেন, দেশ ও বিদেশের লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে আমার অন্তর জুড়ানো বক্তব্য হলো-আমাকে দল থেকে ঠেলে দেয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। কারণ আমাকে যে দোষে দোষী সাব্যস্ত করা হলো এই দোষে স্থায়ী কমিটির কমপক্ষে চারজন সদস্য সম্পৃক্ত। অথচ আমার সদস্য পদ স্থগিত করার আগে আমাকে টেলিফোনে হলেও কথা বলতে পারতেন। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ও দেয়া হলো না।
আফসোসের বিষয় হলো জমিয়ত করতে গিয়ে জীবন যৌবন হারালাম-পরিবারকেও সময় দিতে পারলাম না। আমার শখের সিলেটের অভিজাত এলাকা উপশহরের দুটি বাসা এবং মধুবন মার্কেটের দোকানটিও বিক্রি করলাম। দুঃখ নেই, আপনারা ভালো থাকুন। তবে বিশ্বাস করি ষড়যন্ত্রকারীরা এই দুনিয়ায়ই লাঞ্চনার জিন্দেগি উপভোগ করবে।
তিনি আরো লিখেন-বিগত চল্লিশ বছর থেকে যাদের সাথে চলাফেরা করেছি সকলের কাছে মাফ চাই। শেষ কথা হলো আমি সাবেক মন্ত্রী, জমিয়তের গর্বের প্রতীক মুফতী ওয়াক্কাস রহ. এর মতো ধৈর্য আমার নেই। আমি ফকিরের ও ছেলে নই-ইনশাআল্লাহ নির্বাচনের পর মাঠে দেখা হবে। গুড বাই প্রাণের জমিয়ত।
তিনি বিগত বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে উপ-নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে জয় লাভ করেছিলেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও ২০ দলীয় জোটের শরিক হিসেবে ঐ আসনে ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন।