দরবস্ত-কানাইঘাট রাস্তা সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান
সিলেটের জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সড়ক দরবস্ত থেকে কানাইঘাট পর্যন্ত ৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এক দশক ধরে সংস্কার বঞ্চিত থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বেহাল সড়ক ও বিশাল খানাখন্দের কারণে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রবল শঙ্কাও ক্রমশ বাড়ছে।
দূর্ঘটনার পাশাপাশি ধুলাবালির কারণে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী এবং গর্ভবতী নারী ও জটিল রোগীরা বিশেষ কষ্টে রয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দরবস্ত-কানাইঘাট সড়কে যাত্রীদের ভিড় জমে যায়, গর্তের কারণে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
গত বছর সড়কটির কিছু অংশে আংশিক খনন ও কাজ হলেও তা ছিল অপ্রতুল এবং নামমাত্র। দীর্ঘ সময় ধরে টেন্ডার না হওয়ায় মেরামতের কাজ থমকে রয়েছে। স্থানীয় একাধিক সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিলেট বিভাগের সাব-ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার সালাহ উদ্দীন সুহাগ জানিয়েছেন, চলতি বছরে দরবস্ত-কানাইঘাট সড়কের জন্য বরাদ্দ না থাকায় এখনও বড় কোনো সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। তবে টেন্ডার আহ্বানের প্রক্রিয়া চলছে এবং টেন্ডার হলে কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
এদিকে, আজ ১০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে দরবস্ত-কানাইঘাট সড়কের আশপাশের এলাকার নাগরিকরা নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেট জেলা বরাবরে একটি স্মারক লিপি জমা দিয়েছেন। স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। খানা-খন্দক, ভাঙাচোরা রাস্তা ও ধুলাবালির কারণে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে জনসাধারণের নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে।
এলাকাবাসী লুৎফুর রহমান, শামিম, মহিবুর রহমান, জবরুল, শাহিন ও মাহবুব স্বাক্ষরিত স্মারক লিপিতে উপস্থিত ছিলেন দরবস্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহার উদ্দিন বাহার, দরবস্ত বাজারের সভাপতি তাজুল ইসলাম, সেক্রেটারি আব্দুল মতিন এবং গন্যমান্য সমাজ সেবী নুরুল আমিনসহ অন্যান্য গণমান্য ব্যক্তিগন।
স্মারক লিপির মাধ্যমে সরাসরি সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেরামতের দাবি জানানো হয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতারা বলছেন, সড়কটির দ্রুত সংস্কার না হলে জনগণ ভবিষ্যতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
এদিকে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, টেন্ডার সম্পন্ন হলে এবং বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ শুরু হবে। তারা সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমানোর জন্য নিয়মিত সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানানো হয়েছে।